এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনী। কপিরাইট © ২০২৫
সাপ্তাহিক ইনকিলাব কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত
প্রকাশিত:
৩ ঘন্টা আগে
এনওয়াইপিডির স্বাধীন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে কাজ করা সিসিআরবি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছেন। রিপোর্টে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
উইন রোজারিও ওজন পার্কের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় পরিবারের সাথে থাকতেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় উইন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রকাশিত বডিক্যামের ভিডিওতে দেখা যায়, গত বছরের ২৭ মার্চ ১৯ বছর বয়সী উইনের কল পেয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন এনওয়াইপিডির দুই পুলিশ সদস্য। উইন ওই সময় মায়ের সাথে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এ তরুণ কথা বলতে বলতে কাপড় কাটার কাঁচি হাতে পুলিশ সদস্যদের দিকে এগিয়ে যান।
পুলিশ সদস্যরা তখন পরপর পাঁচটি গুলি করেন। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর উইনকে মৃত বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় তিন মাস আগে উইনের পরিবারের পক্ষ থেকে ফেডারেল আদালতে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় আলাদা করে তদন্ত শুরু করে এনওয়াইপিডি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস।
চলতি সপ্তাহে সিসিআরবির রিপোর্টে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সালভাতোর এলোঞ্জি ও ম্যাথু সিয়ানফ্রোকোর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।
সিসিআরবি জানায়, পুনর্মূল্যায়ন করতে তাদের রিপোর্টটি এনওয়াইপিডির কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
এদিকে রিপোর্ট প্রকাশের ঘটনায় সন্তোষ জানিয়ে ভুক্তভোগী বাংলাদেশি তরুণের পরিবার জানিয়েছে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আর কোনো নিউ ইয়র্কার পুলিশের হাতে অন্যায়ের শিকার হবেন না। অবিলম্বে দুই পুলিশ কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি চেয়েছে তারা।